গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় শুক্রবার (৪ জুন) দুপুরে বাড়ি থেকে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে চিকিৎসার জন্য উত্তরায় হাসপাতালে যাওয়ার পথে নসিমন চাপায় স্বামী নিহত হয়েছেন। এসময় স্ত্রীও আহত হয়েছেন। নিহত আশুতোষ চন্দ্র দাস (৪৫), কালীগঞ্জের বক্তারপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের শ্যামচরণ দাসের ছেলে। আশুতোষ চন্দ্র দাস একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন। আহত স্ত্রী কনিকা রাণী দাস (৩০), কালীগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
নিহতের ভাগ্নে নীহার রঞ্জন দাস জানান, শুক্রবার দুপুরে কালীগঞ্জের বাড়ি থেকে অসুস্থ স্ত্রী কনিকা রানী দাসকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য মোটরসাইকেল যোগে উত্তরার একটি হাসপাতালে রওনা হন স্বামী আশুতোষ চন্দ্র দাস। পথে কালীগঞ্জ-টঙ্গী সড়কের তুমুলিয়া মিশন এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি নসিমন (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত তিন চাকার বাহন) তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন আশুতোষ চন্দ্র দাস ও স্ত্রী কনিকা রানী দাস সামান্য আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশুতোষের মৃত্যু হয়। আহত কনিকা রানী দাসকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন। ঘটনার পর নসিমন ফেলে চালক পালিয়ে যায়।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় আশুতোষ চন্দ্র দাসকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান। আহত কনিকা রানী দাসকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক সাংবাদিকদের জানান, দূর্ঘটনার হতাহতের কথা শুনেছি। তবে স্বজনরা লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেছেন পুলিশকে কিছু জানায়নি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।